যশোরে জাদুবিদ্যার কথা বলে স্বর্ণালঙ্কার হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় প্রতারণার মাধ্যমে নেওয়া ২ ভরি ১৩ আনা ওজনের স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়, যার বাজারমূল্য আনুমানিক চার লাখ ৪৬ হাজার টাকা।
উদ্ধার হওয়া স্বর্ণালঙ্কারের মধ্যে রয়েছে-১৯টি আংটি, ৬ জোড়া কানের দুল, একটি দড়ি চেইন, দুটি কমল চেইন, দুটি পাক চেইন ও একটি টিকলি।
আটককৃতরা হলেন-খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার উত্তর আরশ নগরের আসাদুল শেখ ওরফে রাজু (বর্তমানে যশোর সদরের সাখারীগাতি গ্রামে ভাড়া থাকেন) এবং একই এলাকার আব্দুল গফ্ফারের ছেলে খাইরুল ইসলাম, যিনি রূপদিয়া বাজারের মামনি জুয়েলার্সের মালিক। এ ঘটনায় যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন সদর উপজেলার নরেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মানিক দাসের স্ত্রী গোলাপী রানি দত্ত।
ডিবি পুলিশের ওসি মঞ্জুরুল হক ভূঁঞা জানান, ভুক্তভোগী গোলাপীর সঙ্গে রাজুর মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে তিনি ‘ধর্ম বোন’ পাতিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং দাবি করেন, তিনি জাদুবিদ্যা জানেন-যার মাধ্যমে কাগজ থেকে টাকা বানানো বা স্বর্ণ থেকে স্বর্ণ বহুগুণে বাড়িয়ে দেওয়া সম্ভব।
১ আগস্ট রূপদিয়া রেলস্টেশনের পাশে দেখা করার সময় রাজু প্রথমে এক জোড়া দুল নিয়ে জাদু দেখান এবং বেশি স্বর্ণ দেখিয়ে ফেরত দেন। এতে লোভে পড়ে ৩ আগস্ট গোলাপী রানি ৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার তার হাতে তুলে দেন। এরপর রাজু প্রতারণার মাধ্যমে গহনা নিয়ে পালিয়ে যান।
বুধবার রাতে ভুক্তভোগী থানায় মামলা করলে ডিবি পুলিশ দ্রুত অভিযান চালায়। মামলার মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যে মূল হোতা রাজুকে নরেন্দ্রপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রূপদিয়া বাজার থেকে সহযোগী খাইরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।
আসামিদের বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হলে রাজু জবানবন্দিতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।