খুলনা থেকে চিলাহাটি গামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনে দুই নারী যাত্রীকে (মা–মেয়ে) জুস পান করিয়ে অজ্ঞান করে স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনা ঘটেছে। তবে যাত্রীদের সহায়তায় হাতেনাতে ধরা পড়েছে অজ্ঞান পার্টির সক্রিয় সদস্য ফুল মিয়া (৫৫)।
শনিবার (৩০ আগস্ট) ভোরে বিরামপুর থেকে সৈয়দপুরগামী ট্রেনের ‘ঝ’ বগিতে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী মা-মেয়ে হলেন দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের রশনী রায়ের স্ত্রী কৌশিলা রায় (৫২) এবং তাঁর মেয়ে বীথি রানী (২৮)।
রেলওয়ে পুলিশ জানায়, কৌশিলা ও বীথি ৭৮ ও ৭৯ নম্বর সিটে বসা ছিলেন। পাশের ৭৭ নম্বর সিটে বসেন রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার আবদুল্লাপুর গ্রামের ফুল মিয়া। আলাপচারিতার একপর্যায়ে তিনি মা–মেয়েকে জুস পান করান। জুস পান করার কিছুক্ষণ পরই তাঁরা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ সুযোগে কৌশিলা ও বীথির কানের দুল ও নাকের ফুল খুলে নেন ফুল মিয়া।
এ সময় পাশের যাত্রী অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আবদুর রহিম বিষয়টি আঁচ করতে পেরে ফুল মিয়াকে আটক করেন। যাত্রীরা তাঁকে জুস পান করতে বাধ্য করলে ফুল মিয়া নিজেও অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন প্রতারণার বিষয়টি সবার কাছে স্পষ্ট হয়। পরে তাঁকে ট্রেনে দায়িত্বরত পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদ-উন নবী জানান, অচেতন অবস্থায় মা-মেয়ে ও ফুল মিয়াকে উদ্ধার করে সৈয়দপুর রেলওয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুপুরে দুই নারীর জ্ঞান ফিরলেও ফুল মিয়ার জ্ঞান ফেরেনি।
এ ঘটনায় কৌশিলা রায়ের ছেলে রবীন্দ্রনাথ রায় মামলা করেছেন। পুলিশ জানায়, ফুল মিয়ার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন রেলওয়ে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁর জ্ঞান ফিরলে আইনি প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হবে।